এতদিন হুজুররা কোথায় ছিল-১
শহীদ হাফেজ সুলাইমান হাসান
মাদানীনগর, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
মা-বাবার আদরের একমাত্র পুত্র সন্তান, ৫/৮/২৪ ইং সোমবার দুপুরে যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদাত বরণ করে।
আল্লাহ তায়ালা জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন।
সন্তানকে হারিয়ে মা-বাবা পাগল প্রায়, কিছুক্ষণ পরপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
আল্লাহ তায়ালা মা-বাবা এবং বোনদেরকে সবরে জামীলের তাওফিক দান করুন।
আমাদের রক্তের ইতিহাস আমাদেরই তুলে ধরতে হবে। কিছুই করার নেই। এই জেনারেশন তাদের মনে রাখতে না চাইলেও আমাদের মনে রাখতে হবে।
#এই_তো_আমরা
এতদিন হুজুররা কোথায় ছিল-২
যাত্রাবাড়ী জামিয়া ইবরাহিমিয়া ইসহাকিয়া কাজলার পাড়-এর মুহতামিম মাওলানা আবদুর রহমান উজানী সাহেবের ছোট ছেলে মাওলানা খুবাইব গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসার স্পটে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন।
এই তো ভাই ও বোনেরা! আমরা এখানেই ছিলাম, এখন আমার ভাইয়েরা আছেন জান্নাতে ইনশাআল্লাহ। দুনিয়ার পরিচয় অস্বীকার করলেও জান্নাতে তো আর অস্বীকার করবে না কেউ ইনশাআল্লাহ।
#এই_তো_আমরা
এতদিন হুজুররা কোথায় ছিল-৩
বাংলার জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ২য় স্বাধীনতার যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেছেন আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম ঢাকার ছাত্র জুবায়ের আহমাদ ৷
এই তো আমরা ভাই। আমরা এখানেই আছি।
#এই_তো_আমরা
এতদিন হুজুররা কোথায় ছিলেন-৪
মাওলানা মাবরুর হুসাইন (গোলাম রাব্বি)
জামিয়া বাগে জান্নাত মাদ্রাসা
চাষারা, নারায়ণগঞ্জ।
এই মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস সমাপন করেছে।
আমরা এই তো ভাই। অশ্রুভেজা চোখে বলছি, এই তো আমরা।
#এই_তো_আমরা
এতদিন হুজুররা কোথায় ছিলেন-৫
৫ তারিখে গুলিবিদ্ধ হন ধোবাউড়ার কালিকাবাড়ির সন্তান হাফেজ মো: সাদেক।
কিছুক্ষণ পূর্বে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাত বরণ করেন।
এই তো আমরা ভাই।
#এই_তো_আমরা
এতদিন হুজুররা কোথায় ছিল-৬
মাওলানা মাহমুদুল হাসান রহ
ফারেগ : শায়েখ জাকারিয়া ইসলামিক রিচার্স সেন্টার
শহীদ হন ৫ ই আগস্ট বিকেলে
স্থান : রাজলক্ষ্মী, উত্তরা, ঢাকা
৮ মাসের একজন শিশু সন্তানের জনক
নিম্ন আয়ের পরিবার
এবং তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।
ভাই, আমরা কি এখনো নেই?
এই ৮ মাসের শিশুর তো এখন কেউ নেই।
#এই_তো_আমরা
এতদিন হুজুররা কোথায় ছিল-৭
নাম: শহীদ রুবেল আব্দুল্লাহ
ঠিকানা : নীলগঞ্জ রোড। কিশোরগঞ্জ।
শহীদ হওয়ার তারিখ : ৪ অগাস্ট
আন্দোলনে পানি পান করাচ্ছিলেন। ইতিমধ্যে আহত একজনকে কাঁধেকোলে করে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে তিনি হার্ট এটাক করেন৷ উনি হার্টের রুগী ছিলেন।
#এই_তো_আমরা
এতদিন হুজুররা কই ছিল-৮
নাম: মাওলানা শিহাব উদ্দিন।
তজুমদ্দিন মার্কাজ মাদ্রাসার সাবেক সিনিয়র শিক্ষক ছিলেন। বাড়ি ভোলা জেলার থানা লালমোহনে।
আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ি ছয় তলা ভবনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ গুলি এসে মাথায় লেগে বের হয়ে যায়। তাঁর পরিবার অতি দরিদ্র। তাঁর আয় দিয়ে চলতো।
মহান রব তাঁকে শাহাদাতের সুউচ্চ মাকাম দান করুন।
তাঁর খুনিদের নিকৃষ্ট পরিণতি দেখিয়ে আমাদের আহত হৃদয় শান্ত করুন। আমিন।
#এই_তো_আমরা
শহীদ হাফেজ আনাস বিল্লাহ এর কাছে চিঠি
***************************************
(বাল্যবন্ধু আরজ আলীর ছেলে হাফেজ আনাস বিল্লাহ ২ বছর আগে কুরআনের হেফজ সম্পন্ন করে মাদ্রাসায় ১০ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত থাকা অবস্থায় গত সোমবার বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি প্রতাপনগর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ জাকির এর বাড়ির সামনে আসলে তাতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদাত বরণ করেন আমাদের সকলের প্রিয় আনাস।)
প্রিয় আনাস
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
তুমি কেমন আছো আমি জিজ্ঞেস করবো না।
কারণ তোমার বর্তমান অবস্থার অনেক কিছুই আমি জানি। কি বিশ্বাস হয় না? তাহলে শোনো, যারা বলছে তুমি মারা গেছো তারা ভুল বলছে, তাদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তুমি মরোনি, তুমি আমাদের মাঝেই জীবিত। এখন আল্লাহ তোমাকে নানা নেয়ামতে আচ্ছাদিত করেছেন যা পেয়ে নিশ্চয়ই তুমি অনেক খুশি। তুমি তো এখন জান্নাতের সবুজ পাখি হয়ে উড়ে বেড়াচ্ছ তাই না!
নিশ্চয় তোমার সাথে ইতোমধ্যে সাইয়েদুশ শুহাদা আমির হামজা, খুবাইব, খাব্বাব রা. হাসানুল বান্না, সাইয়্যেদ কুতব সহ অনেকের সাক্ষাৎ হয়েছে। নিশ্চয়ই তারা তোমাকে অনেক অনেক আদর করছেন। অবশ্য তুমি জান্নাতের গেলমানের সাথে রয়েছো নাকি হুরেরা তোমাকে বরণ করে নিয়েছে তাদের ভালোবাসার অবগাহনে এ বিষয়টি আমার কাছে ক্লিয়ার না। আচ্ছা রাসুলুল্লাহ সা. এর চাচাতো ভাই জাফর আত্তাইয়ার রা. এর সঙ্গে তোমার কি দেখা হয়েছে?
আমাদের বড় মাদ্রাসার পাশে যে দুজন শহীদের কবর দেখে দেখে তুমি বড় হয়েছো মানে আমাদের মরহুম বড়হুজুরের ছেলে মাওলানা মাকসুদুর রহমান ও তার জামাতা মাওলানা নুরুল ইসলাম তাদের সাথেও হয়তো তোমার সাক্ষাৎ হয়েছে। তাঁরা তোমাকে কিভাবে বরণ করলেন? নিশ্চয় জানতে পেরেছ ওনারা প্রতাপনগর মাদ্রাসারই শিক্ষক ছিলেন। আরও একজন শহীদ ছিলেন এই মাদ্রাসার শিক্ষক, শহীদ মুহাদ্দিস আব্দুস সাত্তার। হয়তোবা তাঁরা এখন সবাই ব্যস্ত আছেন জামানার শহীদ সর্দার ইসমাইল হানিয়াকে নিয়ে। উনি মাত্র গেলেন তো ওখানে। সবার সাথে তোমার দেখা হবে অচিরেই। আমি সাঈদী সাহেবকে যেমন দেখেছি তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস উনি তোমাকে পাওয়া মাত্রই বুকে জড়িয়ে ধরে তোমার ঐ প্রশস্ত কপাল ভরে দেবেন চুমুতে। সকলে মিলে তোমরা অনন্তকাল সেখানে অনেক উৎফুল্লে থাকবে এর বাইরে আর কিছু আমাদের জানা নেই।
হয়তো জিজ্ঞেস করছ চাচু আপনি আমার ব্যাপারে এত কিছু কি করে জানেন? আসলে হয়েছে কি তোমার আমার সকলের রব আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তা'য়ালা আমাদেরকে তোমার অবস্থা জানিয়ে দিয়েছেন। তুমি তো হাফেজ ছিলে সহজেই বুঝবে বিষয়টি।
আল্লাহ বলেছেন,
وَ لَا تَقُوۡلُوۡا لِمَنۡ یُّقۡتَلُ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ اَمۡوَاتٌ ؕ بَلۡ اَحۡیَآءٌ وَّ لٰكِنۡ لَّا تَشۡعُرُوۡنَ ﴿۱۵۴﴾
আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে তোমরা মৃত বলনা, বরং তারা জীবিত; কিন্তু তোমরা তা অবগত নও। (সূরা আল বাকারা, ১৫৪)
وَ لَا تَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ قُتِلُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ اَمۡوَاتًا ؕ بَلۡ اَحۡیَآءٌ عِنۡدَ رَبِّهِمۡ یُرۡزَقُوۡنَ - فَرِحِیۡنَ بِمَاۤ اٰتٰهُمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ ۙ وَ یَسۡتَبۡشِرُوۡنَ بِالَّذِیۡنَ لَمۡ یَلۡحَقُوۡا بِهِمۡ مِّنۡ خَلۡفِهِمۡ ۙ اَلَّا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَ لَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ.
যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে কখনও মৃত মনে কর না; বরং তারা জীবিত, তারা তাদের রব হতে জীবিকা প্রাপ্ত। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তা লাভ করে তারা আনন্দিত আর যে সব ঈমানদার লোক তাদের পেছনে (পৃথিবীতে) রয়ে গেছে, এখনও তাদের সাথে এসে মিলিত হয়নি, তাদের কোন ভয় ও চিন্তা নেই জেনে তারা আনন্দিত। (সূরা আলে ইমরান, ১৬৯-১৭০)
এবার আমাদের এখানের কিছু সংবাদ তোমাকে জানাচ্ছি, তোমার বুকে যারা গুলি চালিয়েছিল তাদের কেউ আর পৃথিবীতে বেঁচে নেই। তোমার সতীর্থরা তাদের কাউকে ছাড়েনি। অত্যন্ত লাঞ্ছিত অপমানিত হয়ে তারা বিদায় নিয়েছে। এমনকি তাদের মৃতদেহ স্পর্শ করার মতো কোনো লোক পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে শহীদী পরিবার হতে পেরে তোমার বাড়ির লোকজন, পাড়া প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব খুব সম্মানিত বোধ করছে।
তোমার জানাযায় কত মানুষ হয়েছিল সেতো তুমি নিজেই দেখেছো। মানুষ এখনো তোমার শোকে মুহ্যমান। তুমি তো মনে হয় জানো যে, আদম আলী নামে তোমার সাথে আরও একজন শহীদ হয়েছে। সে এপিএস কলেজের ছাত্র ছিল। আর আলী হাসান ছিল না! তোমাদের পরের ব্যাচ মানে নবম শ্রেণীর ছাত্র, সে এখনো বুলেট শরীরে ধারণ করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করছি, আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত সুস্থতা দান করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।
আমি ঠিক মনে করতে পারছি না, তোমার সাথে গত মাহফিলে বা ঈদুল ফিতরের পুনর্মিলনীতে দেখা হয়েছিল কিনা। কিন্তু তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখটি এখন আমার হৃদয়ে দোলা দিচ্ছে। আমার মনে পড়ছে তোমার সার্বক্ষণিক হাসি দেখে আমি বলেছিলাম, নিশ্চয়ই জীবনে অনেক বড় হবে। যাদের মুখে হাসি লেগে থাকে তারা কখনো পরাজিত হয় না। তবে তোমার সফলতাটি ভিন্ন ধরনের। আমরা তো ইহলৌকিক সফলতা দিয়ে নিজেদেরকে মূল্যায়ন করি। কিন্তু তোমার সফলতাটাই আসল সফলতা। তুমি হয়তো এতক্ষণে হাবিবে নাজ্জার এর সাক্ষাৎ পেয়েছে। তিনি শহীদের মর্যাদা ও নেয়ামত পাওয়ার পর তার জাতির লোকদের জন্য যে আফসোস করেছিল তুমিও কি আমাদের জন্য একই আফসোস করছো,
قِیۡلَ ادۡخُلِ الۡجَنَّۃَ ؕ قَالَ یٰلَیۡتَ قَوۡمِیۡ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿ۙ۲۶﴾ بِمَا غَفَرَ لِیۡ رَبِّیۡ وَ جَعَلَنِیۡ مِنَ الۡمُكۡرَمِیۡنَ.
তাকে বলা হল- জান্নাতে প্রবেশ কর। (তখন) সে বলল- হায়! আমার জাতির লোকেরা যদি জানত, কি কারণে আমার রব আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং সম্মানিত করেছেন। (সূরা ইয়াসিন ২৬-২৭)
সর্বশেষ আমরা কথা দিচ্ছি, আমরা তোমাকে ভুলবো না।তোমার রেখে যাওয়া কাজ তোমার উত্তরসূরিরা আঞ্জাম দেবেই। তোমার সাথে আমাদের সবারই দেখা হবে। আমরা প্রতিদিন সেদিকেই আগাচ্ছি।
আল্লাহ তোমাকে ও আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
ইতি
তোমার ডক্টর রুহুল আমিন চাচু
এ যেন এক নতুন বাংলাদেশ!
মাদ্রাসা-জেনারেল,আম জনতা সবাই এক কাতারে।
আজ দেশব্যাপী গণমিছিলে সাধারণ ছাত্রদের সাথে আলিম-উলামার সরব উপস্তিতির বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে আলহামদুলিল্লাহ।
বাইতুল মোকাররাম থেকে বের হওয়া মিছিল লাইভ দেখলাম। অনেক অনেক তালিবুল ইলম ও উলামায়ে কেরাম দেখলাম। চট্রগ্রামে তো আরো বেশী লক্ষণীয়। সিলেট শহরে মাদ্রাসার ছাত্ররা এখনো মাঠে আছে ।
আজ মজলুমের পক্ষে কথা বলার কারণে অনেক খতিব চাকরিচ্যুত হয়েছেন মর্মে সংবাদ আসছে।আমরা এমন সংবাদও পেয়েছি, অনেক বড় বড় খতিবদেরকে জুমুআর নামায পড়াতে মসজিদে আসতে দেয়া হচ্ছে না।
এই তালিকায় আছেন,
* জনপ্রিয় আলোচক মুফতী শামসুদ্দোহা আশরাফী
* লব্ধপ্রতিষ্ঠ ওয়ায়েজ মাওলানা আরিফ বিন হাবীব
* জনপ্রিয় উপস্থাপক মাওলানা সাইফুল ইসলাম
সহ আরো অনেকেই।
.
কোথাও কোথাও মসজিদ কমিটির সভাপতিকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। যেমন, শামসুদ্দোহা ভাইয়ের সায়েন্স ল্যাবরেটরি মসজিদ কমিটির সভাপতি সাহেবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
.
আমরা অনুরোধ করব, এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ান। কোথাও মজলুমের পক্ষে দাঁড়াবার কারণে ইমাম খতিব কমিটি নিগৃহীত হলে অনলাইনে অফলাইনে তীব্র প্রতিবাদ করুন। মুসুল্লিদের সম্মিলিত প্রতিবাদের মুখে কেউ কিছু করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
সম্ভব হলে চাকরিচ্যুতদের জন্য অন্যত্র খিদমতের ব্যবস্থা করুন।এই দায়িত্ব আপনার, আমার, সবার।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে, ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই অসংখ্য আলিম-উলামা ও মাদ্রাসার ছাত্র ভাইয়েরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ছিলো। অনেকের না জানার কারণ হচ্ছে -
১. আলিমরা বা মাদ্রাসা ছাত্ররা নিজস্ব ব্যানারে না এসে বরং সাধারণ ছাত্রদের কাতারে দাঁড়িয়েছে।
২. নিরাপত্তা জনিত কারণে মাদ্রাসা ছাত্ররা সেভাবে ভিডিও গ্রাফি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ায়নি।
যাইহোক , এখন পর্যন্ত যা খবর পেলাম আমাদের কওমি মাদ্রাসা পড়ুয়া অসংখ্য তালিবুল ইলম আহত হয়েছেন। দু'জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শ/হীদ হয়েছেন। শতাধিক আলিম/ছাত্র জেলে বন্ধি আছেন।
ধন্যবাদ জানাই মাওলানা ফায়জুল কারীম সাহেবকে। যিনি এই কঠিন পরিস্থিতিতে আহত ছাত্র ভাইদের সাক্ষাতে গিয়েছেন এবং নিহত পরিবারের কাছে গিয়ে সমবেদনা ও শোক জানিয়েছেন।
প্রিয় ভাইয়েরা,
আলিম-উলামাদের মিডিয়া নাই। তাই আলিমদের ত্যাগেরও কোন মূল্য নাই। উল্টো ভাগ্যে জুটে অর্বাচীন সমালোচনা।
যাইহোক , আপনারা এসব লেখাজোকা প্রচার করুন। যারা আন্দোলনে শরিক হচ্ছেন ছবি/ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিন। আন্দোলনে আপনার সরব উপস্থিতি সবাইকে জানিয়ে দিন।
0 মন্তব্যসমূহ