এড়িয়ে যাবেন না । পোষ্টি পড়ুন মাজলুম মুসলমানদের সাথে এক নিষ্ঠুর রসিকতা
আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বোনির রজিম । বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ।নাহমাদুহু ওয়া নুছ্বাল্লি আলা রসূলিহিল কারিম, আম্মাবাদ--মাস ও বছর ঘুরে প্রতিবারই আমাদের সামনে হাজির হয় এপ্রিল মাস । ইসলামের দৃষ্টিতে তো বটেই বৈষয়িক দৃষ্টিতেও এ মাসের ভিন্ন কোন বৈশিষ্ট আছে বলে আমাদের জানা নেই । তা সত্তেও সমাজ জীবনে এ মাসের প্রথম তারিখে একটি বিশেষ তৎপরতা চোখে পড়ার মত । এক শ্রেণীর মানুষ এ মাসের তারিখটিকে একটি বিশেষ দিবসে পরিণত করেছে । যার সাদামাটা তাৎপর্য হচ্ছে একে অপরেকে ধোঁকা দেওয়ার নির্লজ্জ আনন্দে মাতোয়ারা হওয়া । কিন্তু এ দিবসটির উৎপত্তি ও প্রকৃত তাৎপর্য কি তা জানার প্রয়োজন বোধ করে না এর পালন কারীরা । বলা বাহুল্য, তথাকথিত 'এপ্রিল ফুল' দিবস সৃষ্টির সাথে রয়েছ মুছ্লনমান্দের করুণ ও রিদয়স্পর্শী ইতিহাসের এক নিবির যোগ সূত্র । আজ থেকে পাঁচ শতাব্দী পূর্বে স্পেনে অগণিত মুছলমানকে ধোঁকা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল । সে থেকে ইয়াহুদি-খ্রীস্টান মিডিয়া এ দিবসটিকে একে ওপর কে বোকা বানিয়ে ফূর্তি করার দিবস হিসেবে চিত্রাওনের মাধ্যমে পরিণত করে বিশেষ সংস্কৃতিতে । যে অপসংস্কৃতিকে আজ এক শ্রেনির নির্বোধ মুসলমানরাও লুফে নিয়েছে । অথচ আল্লাহ তা'আলা বলেন, 'যারা প্রতারণা করে তাদের প্রতি অভিশাপ, সবরকম নিন্দুক এবং কুৎসা ও গুজব রটনাকারির প্রতি ধিক্কার ।' এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে ঘোষণা করা হয়েছে , "যে ব্যক্তি বিশ্বাসীর অনিষ্ট করে অথবা তার সাথে প্রতারণা করে সে অভিশপ্ত ।" এ ছাড়া এপ্রিল ফুল পালনের মাধ্যমে ধোকা দেওয়া, মিথ্যা বলা অপরকে কষ্ট দেওয়ার মত নিকৃষ্ট আচরণ করে গুনাহে কবীরায় লিপ্ত হতে হয় । যা ত্বওবা ছড়া হ্মমা পাওয়ার কোন উপায় নাই । একই সাথে ওপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে , "প্রকৃত মু'মিন কাউকে প্রতারিত করে না এবং প্রতারিত হয় না ।" এ হাদীসের ভাষ্য মতে প্রকৃত মু'মিন হিসেবে নিজেকে গড়তে হলে অপর কাউকে ধোঁকা দেওয়ার যেমন কোন সুযোগ নেই তেমনি নিজের দ্বারা অপর কোন লোক প্রতারিত হওয়ারও অবকাশ নেই । সুতরাং দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য শরীয়ত বিবর্জিত এপ্রিল ফুল পালনের ন্যায় মারাত্মক অপরাধ থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য ।১ এপ্রিল করুন ইতিহাস অন্যান্য জাতি জানলেও আত্মভোলা মুসলিম জাতি না জানার কারণেই আজ এক শ্রেণীর মুসলমান এই বিজাতীয় অপসংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে । মুসলমানদেরকে এব্যাপারে সচেতন করার মহান লক্ষ্যে আমাদের ক্ষুদ্র প্র্যয়াস হিসেব সেই রিদয়বিদারক ঘটনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হল ।
আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বোনির রজিম । বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ।নাহমাদুহু ওয়া নুছ্বাল্লি আলা রসূলিহিল কারিম, আম্মাবাদ--মাস ও বছর ঘুরে প্রতিবারই আমাদের সামনে হাজির হয় এপ্রিল মাস । ইসলামের দৃষ্টিতে তো বটেই বৈষয়িক দৃষ্টিতেও এ মাসের ভিন্ন কোন বৈশিষ্ট আছে বলে আমাদের জানা নেই । তা সত্তেও সমাজ জীবনে এ মাসের প্রথম তারিখে একটি বিশেষ তৎপরতা চোখে পড়ার মত । এক শ্রেণীর মানুষ এ মাসের তারিখটিকে একটি বিশেষ দিবসে পরিণত করেছে । যার সাদামাটা তাৎপর্য হচ্ছে একে অপরেকে ধোঁকা দেওয়ার নির্লজ্জ আনন্দে মাতোয়ারা হওয়া । কিন্তু এ দিবসটির উৎপত্তি ও প্রকৃত তাৎপর্য কি তা জানার প্রয়োজন বোধ করে না এর পালন কারীরা । বলা বাহুল্য, তথাকথিত 'এপ্রিল ফুল' দিবস সৃষ্টির সাথে রয়েছ মুছ্লনমান্দের করুণ ও রিদয়স্পর্শী ইতিহাসের এক নিবির যোগ সূত্র । আজ থেকে পাঁচ শতাব্দী পূর্বে স্পেনে অগণিত মুছলমানকে ধোঁকা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল । সে থেকে ইয়াহুদি-খ্রীস্টান মিডিয়া এ দিবসটিকে একে ওপর কে বোকা বানিয়ে ফূর্তি করার দিবস হিসেবে চিত্রাওনের মাধ্যমে পরিণত করে বিশেষ সংস্কৃতিতে । যে অপসংস্কৃতিকে আজ এক শ্রেনির নির্বোধ মুসলমানরাও লুফে নিয়েছে । অথচ আল্লাহ তা'আলা বলেন, 'যারা প্রতারণা করে তাদের প্রতি অভিশাপ, সবরকম নিন্দুক এবং কুৎসা ও গুজব রটনাকারির প্রতি ধিক্কার ।' এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে ঘোষণা করা হয়েছে , "যে ব্যক্তি বিশ্বাসীর অনিষ্ট করে অথবা তার সাথে প্রতারণা করে সে অভিশপ্ত ।" এ ছাড়া এপ্রিল ফুল পালনের মাধ্যমে ধোকা দেওয়া, মিথ্যা বলা অপরকে কষ্ট দেওয়ার মত নিকৃষ্ট আচরণ করে গুনাহে কবীরায় লিপ্ত হতে হয় । যা ত্বওবা ছড়া হ্মমা পাওয়ার কোন উপায় নাই । একই সাথে ওপর এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে , "প্রকৃত মু'মিন কাউকে প্রতারিত করে না এবং প্রতারিত হয় না ।" এ হাদীসের ভাষ্য মতে প্রকৃত মু'মিন হিসেবে নিজেকে গড়তে হলে অপর কাউকে ধোঁকা দেওয়ার যেমন কোন সুযোগ নেই তেমনি নিজের দ্বারা অপর কোন লোক প্রতারিত হওয়ারও অবকাশ নেই । সুতরাং দলমত নির্বিশেষে সকলের জন্য শরীয়ত বিবর্জিত এপ্রিল ফুল পালনের ন্যায় মারাত্মক অপরাধ থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য ।১ এপ্রিল করুন ইতিহাস অন্যান্য জাতি জানলেও আত্মভোলা মুসলিম জাতি না জানার কারণেই আজ এক শ্রেণীর মুসলমান এই বিজাতীয় অপসংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে । মুসলমানদেরকে এব্যাপারে সচেতন করার মহান লক্ষ্যে আমাদের ক্ষুদ্র প্র্যয়াস হিসেব সেই রিদয়বিদারক ঘটনার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হল ।
এপ্রিল ফুলের ইতিহাস
তৎকালীন ইউরোপীও দেশ স্পেনে মুসলিম সেনাপতি তারিক বিন যিয়াদ (রঃ)- এর নেতৃত্বে ৭১১ খ্রীস্টাব্দে ইসলামী পতাকা উড্ডীন হয় এবং মুসলিম সভ্যতার গোড়াপত্তন হয় । সুদীর্ধ প্রায় আটশ বছর পর্যন্ত মুসলমান্দের গৌরবময় শাসন বহাল থাকে । কিন্তু পরবর্তীতে আস্তে আস্তে মুসলিম সম্রাজ্যে ঘুণে ধরতে সুরু করে এবং মুসলিম শাসকরাও ভোগ-বিলাসিতায়ব গা ভাসিয়ে দিয়ে ইসলাম থেকে দূরে সরে যেতে থাকে । ফলে মুসলিম দেশগুলোও ধীরে ধীরে মুসলমান্দের হাত ছাড়া হয় খ্রীস্টান্দের করতলগত হতে থাকে ।
এরই ধারাবাহিকতায় আসে স্পেনের পালা । মুসলিম শাসনে নেমে আসে পরাজয়ের কালো ছায়া । খ্রীস্টান জগত গ্রাস করে নেয় স্পেনের বিজয় পতাকা । ইউরোপ থেকে মুসলমান্দের নাম-নশানা মুছে ফেলার জন্য গ্রহন করে নিত্যনতুন কৌশল ও কুটিল ষড়যন্ত্র ।
এক পর্যায়ে মুসলিম নিধনের লক্ষ্যে খ্রীস্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ড বিয়ে করে পর্তগীজ রাণী ইসাবেলাকে । যার ফলে মুসলিম বিরোধীব দুই বৃহৎ খ্রীস্টান শক্তি সম্মিলিত শক্তি রুপে আত্মপ্রকাশ করে । রাণী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিন্যান্ড খুঁজতে থাকে ইস্পেন দখলের মোখম সুযোগ । কর্ডোভা সেভিলা, ভ্যেলেন্সিয়া ইত্যাদি জয় করার পর সম্মিলিত খ্রীস্ট শক্তি মুসলিম সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞানের কেন্দ্রস্থল গ্রানাডার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে । এক পর্যায়ে মুসলমানদের অসতর্কতার সুযোগে খ্রীস্টান বাহিনী ঘিরে ফেলে গ্রানাডার তিন দিক । এক মাত্র মহাসমুদ্রই বাকি থাকে মুসলমানদের বাচার পথ । অবরুদ্ধ পরাজিত মুসলমানগণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এদিক সেদিক ছুটতে থাকে । বিপর্যস্ত মুসলমান্দের এ অসহায় অসস্থায় রাজা ফার্ডিন্যান্ড প্রতারণার আশ্রয় নেয় । দেশব্যপী ঘোষনা দেয়- "যারা অস্ত্র ত্যাক করে মসজিদগুলোতে আস্রয় নেবে এবং সমুদ্র পাড়ে রক্ষিত নৌযানগুলোতে আরোহণ করবে তাদেরকে সবরকম নিরাপত্তা দেওয়া হবে " । এহেন বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে মুসমানগণ যেন খুঁজে পায় আশার আলো । সরল মনে বিশ্বাস করে মুসলমানগণ মসজিদ ও নৌযান গুলোতে আশ্রয় গ্রহন করে । কিন্তু ইতিহাসের জঘন্য নরপিশাচ প্রতারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড তালা লাগিয়ে দেয় মসজিদ গুলোতে এবং মাঝ দরিয়ায় ভাসিয়ে দেয় নৌযান গুলোকে । এর পর বিশ্ব মানবতাকে পদদলিত হায়েনার চেয়ে হিংস ও শিয়ালের চেয়ে ধূর্ত ঐ মানুষ নামের পশু ফার্ডিন্যান্ড আগুন লাগিয়ে দেয় মসজিদের চার পাশে এবং মহা সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয় নৌযানগুলোকে । ফলে অগ্নিদগ্ধ ও পানিতে হাবুডুবু খাওয়া লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষ আর নিষ্পাপ শিশুর আর্ত চিৎকারে ভারি হয়ে উঠে স্পেনের আকাশ বাতাশ । মুহূর্তের মধ্যে নির্মমভাবে নিঃশেষ হয়ে যায় ৭ লক্ষ তজা প্রাণ । আর এরি মাধ্যমে ইতি ঘটে স্পেনের আটশ বছর মুসলিম শাসনের । দুনিয়ার ইতিহাসের রচিত হয় মানবতা লঙ্ঘনের নির্মম অধ্যায় ।
এখানেই শেষ নয় । মুসলমানদের এই করুন পরিণতি দৃষ্টে নির্দয়-নিষ্ঠুর হন্তারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড উল্লাসিত হয়ে উঠে । খুশিতে আত্মহারা হয়ে স্ত্রী ইসাবেলাকে বলে- How fool the muslim is! মুসলমান কতইনা বোকা " যেদিন এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে ছিলো সেদিন ছিল ১৪৯২ খ্রীস্টাব্দের ১ লা এপ্রিল । তখন থেকে মুসলমানদের ধোঁকা দেওয়ার সেই নিষ্ঠুর ইতিহাস সরণার্থে খ্রীস্টানরা প্রতি বছর এপ্রিল ফুল পালন করে আসছে । পরিশেষে দুঃখে সাথে বলতে হয়, মুসলমানদের বিরুদ্ধে খ্রীস্টানী এহেন লোমহর্ষক মর্মান্তিক ইতিহাস সম্পরকে না জানার কারণে আমরা আমাদের পুর্বসূরীদের দুর্ভাগ্যকে আনন্দের খোরাক বানিয়ে এপ্রিল ফুল পালন করছি । এর চেয়ে পরিতাপের বিষয় আর কি হতে পারে ?
আমরা আর কতকাল আত্মবিস্মৃত হয়ে থাকব ! নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে অজ্ঞতার ধারা আর কত দিন আমাদের মধ্যে বিরাজ করবে ! অথচ এই অজ্ঞতাই আমাদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক কাল হয়ে দেখা দিয়েছে । এই অজ্ঞতা যত শিঘ্র দূর করা যাবে তত দ্রুত সাধিত হবে আমাদের কল্যান । অতএব এর থেকে বাঁচতে হলে জীবনের সব অঙ্গন থেকে বিদূরিত করতে হবে সবধরনেণের বিজাতিও কৃষ্টি-কালচার । বাস্তবায়ন করতে হবে জীবনের সর্বস্তরে ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি তথা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুপম আদর্স ।
তাই সম্মানিত মুসলমান ভাই-বোনদের প্রতি ক্বুরআন সুন্নার আলো বাংলাদেশের এর পক্ষ থেকে উদাত্ত আহবআন, এপ্রিল ফুল পালনের মাধ্যমে ঐ মাজলুম মুসলমানদের সাথে নিষ্ঠুর রসিকতা করা থেকে বিরত থাকুন । বিজাতীও রিতি-নিতিতে নিজেক সম্পৃক্ত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করুন ।
কেননা হাদীস শরিফে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন , যে যার সাথে সম্মপর্ক রাখবে তার হাশর ঐ বেক্তির সাথে হবে ।" আমরা কেউ অবশ্যই চাই না অবিশ্বাসী বিজাতিদের সাথে আমাদের হাশর হোক ।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের কে সত্যটাকে জানার তৌফিক দান করুন আমিন ।
লেখক ক্বারী মু, দেলাওয়ার হুসাইন দিনাজ পুরী
0 মন্তব্যসমূহ