এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী লাবণী আক্তার।
তবে সে আর লাবণী নয়, বরং রূপান্তরিত হয়ে আব্দুল্লাহ জিসান নাম ধারণ করেছে। এই খবরে তাকে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। এমন ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের মির্জাপুর ইউনিয়নে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার নঠুরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের লাবলু মিয়ার মেয়ে লাবণীর ছেলে হওয়ার কথা গতকাল শনিবার সামনে আসে। হাতেম আলী বিএল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা তার। এর মধ্যে হঠাৎ করেই জানা গেল- মেয়েটি ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।
বিষয়টি লোকমুখে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে প্রচুর মানুষ লাবণীদের (আব্দুল্লাহ জিসান) বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিমুহূর্তে। অনেকে তার সঙ্গে ছবি তুলছেন, আবার নানা বিষয়ে জানতে চাইছেন কৌতূহলী লোকজন।
এ নিয়ে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে পরিবারটি।
এ বিষয়ে লাবণী তথা জিসানের বাবা লাভলু মিয়া বলেন, সম্প্রতি তার মেয়ের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার স্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পারেন তিনি। এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার থেকে লোকজন তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করে।
লাবণীর শারীরিক গঠন পুরুষের মতো হওয়ায় স্থানীয়দের পরামর্শে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। লাবণীর মা পারভীন আক্তার বলছেন, মাস ছয়েক আগে বিয়ে ঠিক হলে তাতে অসম্মতি জানায় মেয়ে। তখন রূপান্তরের বিষয়ে জানালেও আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি। এখন সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেছে। আল্লাহর ইচ্ছায় দুই মেয়ের একজন ছেলে হওয়ায় সবাই খুশি।
হরমনজনিত কারণে রূপান্তরের ঘটনা ঘটে থাকে বলে জানিয়েছেন গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজী। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা মাঝে মধ্যেই শোনা যায়। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার অনুরোধ করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ